আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের অগ্রগতির মধ্যেও মানুষের ঝোঁক বাড়ছে প্রাকৃতিক ও ভেষজ চিকিৎসার দিকে। বিশেষ করে নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকে মুক্তির আশায় অনেকেই এখন ঘরোয়া উপায়ে সুস্থ থাকার উপায় খুঁজছেন। এ ক্ষেত্রে আমাদের আশপাশেই থাকা কিছু সাধারণ ভেষজ পাতাই হয়ে উঠতে পারে রোগ প্রতিরোধের অন্যতম হাতিয়ার।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব ভেষজ পাতার নিয়মিত ব্যবহার শরীরের প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়, হজম শক্তি উন্নত করে এবং নানা জটিল রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন কিছু পরিচিত ভেষজ পাতার গুণাগুণ—
তুলসী:
ঘরোয়া ঔষধি পাতার মধ্যে অন্যতম। ঠান্ডা, জ্বর কিংবা কাশি হলে তুলসী পাতার রস বা চা বিশেষ উপকারী। পাশাপাশি এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও কার্যকর।
অর্জুন:
হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতা বাড়াতে এই পাতা যুগ যুগ ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। অর্জুন পাতা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক।
অশ্বগন্ধা:
আয়ুর্বেদে একে “প্রাকৃতিক শক্তির উৎস” বলা হয়। মানসিক চাপ কমানো থেকে শুরু করে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পর্যন্ত এটি বহুমুখীভাবে কার্যকর।
আদা:
মশলা হিসেবে ব্যবহারের পাশাপাশি এটি হজম শক্তি বাড়াতে ও ঠান্ডা-কাশিতে উপশম দিতে দারুণ উপকারী।
আমলকী:
প্রাকৃতিকভাবে ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ এই পাতা রোগ প্রতিরোধে শক্তিশালী ভূমিকা রাখে।
কালমেঘ:
বিশেষ করে লিভার পরিষ্কার করতে এবং ভাইরাল জ্বরের উপসর্গ কমাতে এটি ব্যবহারযোগ্য।
পুদিনা:
পেটের সমস্যা, হজমে গোলমাল কিংবা মুখের রুচি ফেরাতে পুদিনা পাতার জুড়ি নেই।
থানকুনি:
ত্বক ও চুলের যত্নের পাশাপাশি এটি মস্তিষ্ক ও হজমের জন্যও উপকারী।
কুলেখাড়া:
রক্তস্বল্পতা, দুর্বলতা ও লিভারের নানা সমস্যায় কুলেখাড়ার ব্যবহার দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে।
জবা:
চুল পড়া ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে জবা পাতা ও ফুল ব্যবহারের পরামর্শ দেন অনেকে।
ভাট পাতা:
হজমের সমস্যা কিংবা চর্মরোগে এটি প্রাকৃতিক প্রতিকার হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
সতর্কতা
প্রাকৃতিক বলেই সব কিছু যে নিরাপদ, তা নয়। অতি ব্যবহারে বা ভুল উপায়ে ব্যবহার করলে হতে পারে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। তাই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ব্যতীত চিকিৎসার বিকল্প হিসেবে ব্যবহার না করাই বুদ্ধিমানের কাজ।
No comments:
Post a Comment